Header Ads

Header ADS

ভুয়া পর্নো ভিডিওতে মিশেল-ইভানকা-মিডলটন!

একজনের মাথা অন্য আরেকজনের শরীরে বসিয়ে দিয়ে তৈরি ভুয়া পর্নো ভিডিওগুলো সম্প্রতি অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব পর্নো ভিডিওতে অভিনেত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রিয় তারকারা স্থান পেয়েছেন। ভুয়া এই ভিডিওগুলো থেকে রেহাই পাননি সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প। বাদ যাননি প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনও।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নাটালি পোর্টম্যান, নাটালি ডোরমার, এমা ওয়াটসন -এ রকম একাধিক অভিনেত্রী বা গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডের মুখ আরেকজনের ঘাড়ে বসিয়ে তৈরি করা পর্নো ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ বা ব্যবহার করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেহারা। অনলাইনে ছড়ানো এসব পর্নো ভিডিওকে বলা হয় ‘ডিপ ফেক’। বর্তমানে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ‌‘জিফিক্যাট’ নামের একটি ইমেজ হোস্টিং সাইট এসব ভিডিও মুছে দেওয়ার কাজে নেমেছে।সানফ্রান্সিসকো ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা অনেক ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ইন্টারনেট থেকে মুছে দিয়েছে।
ভুয়া ভিডিও তৈরির এক নতুন প্রযুক্তি এখন সহজপ্রাপ্য হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষ তাদের যৌন কল্পনাকে ‘বাস্তবে’ পরিণত করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে পারছে। এতে অনেক সময় ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ফেকঅ্যাপ’ নামের একটি সফটওয়্যার।
একজনের শরীরে আরেক জনের মাথা বসানোর এই ভিডিও সফটওয়্যারের ডিজাইনার বলেছেন, তার তৈরি সফটওয়্যারটি এক মাসেরও কম সময় আগে ছাড়া হয়েছে এবং এর মধ্যেই তা ডাউনলোড হয়েছে এক লাখেরও বেশি।
এ রকম ছবি বা ভিডিও আগেও বানানো যেত, কিন্তু তা করতে হলে দরকার হতো হলিউডের একজন সিনেমা সম্পাদকের দক্ষতা এবং বিপুল পরিমাণ টাকা। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন আপনার দরকার কেবল একজনের কয়েকশ' ছবি, আর একটি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও। বাকি কাজটা করে দেবে আপনার কম্পিউটার। তবে একটা ছোট ভিডিও ক্লিপ বানাতে সময় লাগবে ৪০ ঘন্টা বা তারও বেশি।
এসব ‌‘ডিপ ফেক’ বা ভুয়া পর্নো ভিডিওর জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট সার্চ করা হয় বলেও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.