পাতলা, ভঙ্গুর ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে আন্দাজ করা যায় আপনি হয়ত শারীরিকভাবে অনেকটাই দুর্বল। তাই চুল পরিচর্যার আগে নিজের শরীরের যত্ন নিন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে চুলে। তাই সুন্দর চুলের জন্য আগে স্বাস্থ্যের প্রতি মনযোগী হওয়া দরকার।
পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব: নির্জীব বা পাতলা চুলের অর্থ হল আপনি অনেক বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাচ্ছেন এবং আপনার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভালো চর্বি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাব রয়েছে। অনেক বেশি রঙিন ফল ও সবজি এবং কমপক্ষে দুতিন ধরনের প্রোটিন যেমন- মুরগি, ডিম, মাছ, টফু, সবজি, দুধের তৈরি খাবার ও বাদাম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।।
খাদ্যতালিকায় ভালো চর্বি যেমন- তৈলাক্ত মাছ, অ্যাভোকাডো, ডার্ক চকোলেট ও জলপাইয়ের তেল রাখুন। এগুলো চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং ভিটামিন ডি শোষণে সাহায্য করবে। এই ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেখ।
দাঁতের সমস্যা: গবেষকরা দেখেছেন, দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সঙ্গে চুল পড়ার সম্পর্ক রয়েছে। যেসকল মানুষ চুলের সমস্যা যেমন ‘অ্যানাজেন হেয়ার সিন্ড্রোম’ বা গোড়া থেকে চুলের সমস্যায় ভোগেন, সেখানে তাদের সহজেই চুল উঠে যায়। দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা দেখা দেয় এবং এনামেলের আস্তরণ দুর্বল হয়ে পরে।
মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ে: যদি অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন তাহলে এর কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ সম্পন্ন সময় যেমন- অসুস্থতা, গর্ভাবস্থা, হতাশা ইত্যাদি চুল পড়ার অন্যতম কারণ। চাপের কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় যাকে ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’ বলা হয়। চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
জন্ম বিরতিকরণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: জন্ম বিরতিকরণ ওষুধের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। শুষ্ক ও নির্জীব দেখায়। আপনি যদি এই ধরনের সমস্যা ভোগেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর হরমোনাল নয় এমন জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করুন।
থায়রয়েডের সমস্যা: হঠাৎ করে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেওয়া ‘হাইপোথায়রোডিজম’য়ের লক্ষণ। থায়রয়েড গ্রন্থি চুল বৃদ্ধি করে। যখন এটা পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে পারে না তখন চুল পড়া ও পাতলা হয়ে মাথার তালু বের হয়ে আসার সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন: মাথার তালুর অংশে চুল পড়ে যাওয়া সমস্যার মূল কারণ হল অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন। এটার কারণে মুখে ঠোঁটের উপরের গাঢ় দাড়ি অথবা বাহুতে পাতলা লোম ও পেটে চর্বি হতে পারে। পেটের চর্বি টেস্টোস্টেরন উৎপাদন বাড়ায় তাই ওজন কমানোর মাধ্যমে এর সমাধান করা যায়।